নির্বাচন কমিশনের কাজ কি | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন 2024

নির্বাচন কমিশনের কাজ কি সম্পর্কে সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের বিধানে উল্লেখ রয়েছে। এই বিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, সংসদ-সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, সংসদে নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ করা এবং রাষ্ট্রপতির পদের এবং সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ। এছাড়াও সংবিধান বা অন্য কোন আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে, নির্বাচন কমিশন সেরূপ দায়িত্ব পালন করবেন। ইহা সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে গণিত হয়ে আছে। নিম্নে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের কাজ কি | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন 2024
নির্বাচন কমিশনের কাজ কি | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন 2024

 

নির্বাচন কমিশনের কাজ কি

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচন কমিশন যদি সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে না করতে পারেন তাহলে সফল নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবেনা। তাই সফলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্পাদনের জন্য নির্বাচনের কাজ কি সম্পর্কে নিম্নে বিষদভাবে বর্ণনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ কোন দলের কোন মার্কা বরাদ্দ রয়েছে | ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন 2024

১। নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী

নির্বাচন কমিশনের মূল কাজ হলো সংবিধানে ১২০ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য যেরূপ কর্মচারী প্রয়োজন হবে, নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করলে রাষ্ট্রপতি সেরূপ কর্মচারী ব্যবস্থা করবেন।

২। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা অর্পণ

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে কমিশন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা অন্য কোনো নির্বাচন কমিশনার বা তার কোন কর্মকর্তাকে যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্ব প্রদান করতে পারবে। তাছাড়া ৫ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে কমিশন যে কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে তার নির্দেশ অনুযায়ী কোন দায়িত্ব পালন বা সহায়তা প্রদান করতে নির্দেশ দিতে পারবে।

৩। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তা প্রদান

সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।

আরো পড়ুনঃ ভোটার তথ্য অনুসন্ধান করবেন কিভাবে | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন 2024

৪। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপর নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ

নির্বাচনের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করবেন। যদি কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী বা আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পক্ষপাতমূলক কোন আচরণ করেন বা নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবান্বিত করার চেষ্টা করে তাহলে নির্বাচন কমিশন তাকে নির্বাচনের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দিতে পারবে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’ শীর্ষক আইন রয়েছে। পরিশিষ্ট-ঙ তে উক্ত আইন উদ্ধৃত করা হয়েছে।

৫। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতীত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বদলী না করা

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪৪৪ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর হতে নির্বাচনি ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে নিম্নোক্ত কর্মকর্তাবৃন্দকে স্ব স্ব কর্মস্থল হতে বদলী না করা নির্বাচন কমিশনের কাজ।

  • (ক) বিভাগীয় কমিশনার
  • (খ) মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার।
  • (গ) জেলা প্রশাসক
  • (ঘ) পুলিশ সুপার ; অথবা
  • (ঙ) বিভাগ, জেলায় বা মেট্রোপলিটন এলাকায় কর্মরত তাঁদের অধীনস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

৬। কতিপয় ক্ষেত্রে কমিশনের নির্বাচনি কার্যক্রম বন্ধ করার ক্ষমতা

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১ এর বিধান অনুসারে কমিশনের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, নির্বাচনে বল প্রয়োগ, ভীতি-প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে ন্যায়ানুগ ও নিরপেক্ষভাবে এবং আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হওয়া যাবে না সেক্ষেত্রে যে কোন ভোট কেন্দ্র বা ক্ষেত্রমত সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকায় যে কোন পর্যায়ে ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে পারবেন।

তাছাড়া, কোন ব্যালট পেপার নাকচ বা গ্রহণসহ, এই অধ্যাদেশ বা বিধিমালার অধীন কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন; এবং নির্বাচন নিরপেক্ষ, ন্যায়ানুগ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান ও ক্ষমতা প্রয়োগসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য আদেশ প্রদান করতে পারবেন। কতিপয় ক্ষেত্রে কমিশনের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করা নির্বাচন কমিশনের কাজ।

৮। প্রার্থিতা বাতিলের কমিশনের ক্ষমতা

নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো ইচ্ছা করলে শর্ত সাপেক্ষে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১ (ঙ) এর বিধান অনুসারে যদি কোন উৎস হতে প্রাপ্ত রেকর্ড বা মৌখিক কিংবা লিখিত রিপোর্ট হতে কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থী বা তার নির্বাচনি এজেন্ট বা তার নির্দেশে বা তার পক্ষে তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্মতিতে অন্য কোন ব্যক্তি গুরুতর বেআইনী কার্যে লিপ্ত হয়েছেন বা লিপ্ত হবার চেষ্টা করছেন।

ইহা দেখুনঃ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাজ কি | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন 2024

এ আদেশ বা এর অধীন প্রণীত বিধিমালা বা আচরণ বিধিমালার কোন বিধান লংঘন করেছেন বা লংঘনের চেষ্টা করছেন এবং অনুরূপ বেআইনী কার্যে লিপ্ত হওয়া বা লিপ্ত হবার চেষ্টা বা লংঘন বা লংঘনের চেষ্টার জন্য তিনি সদস্য নির্বাচিত হবার বা থাকার অযোগ্য হতে পারেন, সেক্ষেত্রে কমিশন, সংশ্লিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করে, বিষয়টি তদন্তের আদেশ দেবেন।

তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির পর কমিশন যদি এ মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার নির্বাচনি এজেন্ট বা তার নির্দেশে বা তার পক্ষে তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্মতিতে অন্য কোন ব্যক্তি গুরুতর বেআইনী কার্যে লিপ্ত হয়েছেন বা লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন বা আদেশ বা বিধিমালা বা আচরণ বিধিমালার কোন বিধান লংঘন করেছেন বা লংঘনের চেষ্টা করছেন এবং অনুরূপ বেআইনী কার্য করার বা চেষ্টা বা ক্ষেত্রমতে লংঘন বা লংঘনের চেষ্টার জন্য তিনি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা থাকার অযোগ্য হতে পারেন, তা হলে কমিশন, তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আদেশ দ্বারা, অনুরূপ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রার্থীপদ বাতিল করতে পারবেন এবং সংশ্লিষ্ট পদের নির্বাচন, তাকে বাদ দিয়ে, অন্য প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

যেক্ষেত্রে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হতে বিরত রাখার ফলে শুধুমাত্র একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন সেক্ষেত্রে উক্ত নির্বাচনি আসনে ১৭ অনুচ্ছেদের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচনে যার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে, তিনি এ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। এখানে উল্লেখ্য যে, উক্ত আদেশ সংশ্লিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার নির্বাচনি এজেন্টকে হাতে-হাতে বা ফ্যাক্স, ই-মেইল বা কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বা অন্য কোন পন্থায় দ্রুত জানিয়ে দেয়া হবে।

আরও উল্লেখ্য যে, প্রদত্ত আদেশ অবিলম্বে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এবং অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং অনুরূপ প্রার্থীকে মনোনয়নদানকারী রাজনৈতিক দলকে অবহিত করা হবে। এবং উল্লিখিত আদেশ সরকারি গেজেটে ও কমিশন কর্তৃক উপযুক্ত বিবেচিত অন্য কোন প্রকারেও প্রজ্ঞাপন আকারে জারী করবেন। উল্লেখ্য যে, প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা এককভাবে নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।

৯। সকল প্রকার প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে ও নিরপেক্ষভাবে কর্মসম্পাদন

বিশেষ কোন মহলের কোন প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ণ না করতে পারে তা আইন, বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার আলোকে নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের ন্যায় একটি সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এমন কোন কাজ করবেন না যার দ্বারা তাদেরকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় এবং তারা যে পক্ষপাতদুষ্ট এমন ধারণা সৃষ্টি না হয় তার নিশ্চয়তা বিধানকল্পে প্রতিটি কাজে আইন ও বিধির যথার্থ প্রয়োগ ও অনুসরণ করতে হবে। তাই সকল প্রকার প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে ও নিরপেক্ষভাবে কর্মসম্পাদন নির্বাচন কমিশনের কাজ।

১০। সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা বা কার্যক্রম গ্রহণে বাধা-নিষেধ প্রদান

আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কার্যের জন্য সরকার, নির্বাচন কমিশন বা তার কোন কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা রুজু বা অন্য কোন আইনগণ কার্যধারা গ্রহণ করা যাবে না। সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা বা কার্যক্রম গ্রহণে বাধা-নিষেধ প্রদান করাই হলো নির্বাচন কমিশনের কাজ।

১১। নির্বাচন কমিশন এবং কতিপয় কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপনে বাধা-নিষেধ

নির্বাচন কমিশন বা কোন রিটার্নিং অফিসার বা প্রিজাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার কর্তৃক, বা তদ্‌কর্তৃত্বাধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত কর্ম, গৃহীত কোন ব্যবস্থা, অথবা প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্তের বৈধতার বিষয়ে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

নির্বাচনপূর্ব নির্বাচন কমিশনের কাজ

এখানে নির্বাচনপূর্ব নির্বাচন কমিশনের কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এক্ষণে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম রোধকরে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন ও তাদের কার্যাবলী, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং আনুষংগিক বিষয়াদি বর্ণনা করা হয়েছে।

আরো দেখুনঃ নির্বাচনে ভোটারদের করণীয় 2024 | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

১। নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম রোধ

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১ক অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচনপূর্বক অনিয়ম রোধকল্পে ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করতে পারবে।

২। ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন

ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠনের জন্য যে সংখ্যক কর্মকর্তা প্রয়োজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্য হতে নির্বাচন কমিশন সে সংখ্যক কর্মকর্তা নির্ধারণ করাই হলো নির্বাচন কমিশনের কাজ।

৩। ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য

নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করে দেওয়া। ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি আইনের অধীন তার কার্যাবলী সম্পাদন করবেন এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ সাপেক্ষে নির্বাচন অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পূর্বেই তার বিবেচনা অনুযায়ী তদন্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। তদন্ত অনুষ্ঠান পরিচালনায় কমিটি লিখিতভাবে যে কোন ব্যক্তিকে কমিটির সামনে উপস্থিত হতে এবং শপথ বাক্য বা হলফনামার মাধ্যমে স্বাক্ষরদানে আদেশ দিতে পারবেন।

৪। ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ

তদন্ত অনুষ্ঠান শেষে কমিটি তিন দিনের মধ্যে তদন্তের বিষয়াবলী নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবে এবং এমন সুপারিশ করতে পারবে যাতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক যে কোন অনিয়ম কার্যকলাপের দায়ে দায়ী ব্যক্তির উপর আদেশ, কোন কার্যকলাপ বন্ধ অথবা নির্দেশিত কাজের যে কোন প্রকার বরখেলাপ, প্রয়োজনমতে ভুল তথ্য সরবরাহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আদেশ জারীর সুপারিশ থাকবে। তাই ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ করাও নির্বাচন কমিশনের কাজ হিসেবে বিবেচিত।

৫। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ

নির্বাচন কমিশনের কাজ এর মধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১১গ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন দেশী বা বিদেশী কোন ব্যক্তিকে নির্বাচনি পর্যবেক্ষক হিসেবে অনুমতি দিতে পারা অন্যতম কাজ। নির্বাচনি পর্যবেক্ষকগণ কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ অথবা কোন রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, ম্যানিফেস্টো বা কর্মসূচির প্রতি তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন থাকতে পারবে না।

নির্বাচনি পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যবেক্ষক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। বিদেশী পর্যবেক্ষকদের সুবিধার্থে Guidelines for International Election Observers and Foreign Media প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত নীতিমালা ও Guidelines যথাক্রমে এ ম্যানুয়েলে সংযোজন করা হয়েছে।

৬। পর্যবেক্ষকের পরিচয়পত্র

নির্বাচন কমিশনের কাজ এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নির্বাচন কমিশনের নির্দেশক্রমে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রণীত পরিচয়পত্র অনুসারে নির্বাচনি পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র প্রদান করবেন। রিটার্নিং অফিসার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের তালিকা সংরক্ষণ করবেন। বিশেষ বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতেও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদেরকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি প্রদান করা হবে।

সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে যা রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেয়া হবে। রিটার্নিং অফিসার পূর্ব হতেই নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রণয়ন করবেন এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করবেন। উক্ত তালিকার বাইরে কাউকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি প্রদান করা যাবে না।

৭। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক

নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তাদের বা অন্য কর্মকর্তাদেরকেও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ/ তদারকির জন্য প্রেরণ করবেন। সে ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুসারে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করাও নির্বাচন কমিশনের কাজ এর মধ্যে অন্যতম।

৮। গাড়ী অধিযাচন

নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন কমিশন লিখিত অনুরোধ করলে সরকার বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কোন ভোটকেন্দ্রে বা কেন্দ্র হতে ব্যালট বাক্স বা অন্যান্য নির্বাচনি দ্রব্যাদি কোন কর্তব্য পালনে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে আনা-নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বা প্রয়োজন হতে পারে এরূপ কোন যানবাহন বা জলযান অধিযাচন করতে পারবে। তবে কোন প্রার্থী বা তার নির্বাচনি এজেন্ট কর্তৃক সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর নির্বাচন সংক্রান্ত কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কোন যানবাহন বা জলযান এরূপে অধিযাচন করা যাবে না।

অধিযাচনকৃত যানবাহন বা জলযানের মালিককে, সরকার বা যানবাহন বা জলযানটির অধিযাচনকারী কর্মকর্তা, স্থানীয়ভাবে প্রচলিত ভাড়ার ভিত্তিতে তার ভাড়া নির্ধারণপূর্বক ক্ষতিপূরণ প্রদান করবেন। তবে এরূপে নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দ্বারা সংক্ষুব্ধ যানবাহন বা জলযানের মালিক ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণের তারিখ হতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট লিখিতভাবে আপত্তি দাখিল করলে সরকার, এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত সালিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণে ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে।

৯। কতিপয় ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ক্ষমতা

নির্বাচন কমিশন নিম্নেবর্ণিত বিষয়ে আদেশ প্রদান করতে পারবে এবং এগুলোও নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হিসেবে গণ্য।

  • (ক) নির্বাচনের যে কোন পর্যায়ে যে কোন ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে পারবে, যদি তার নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, তা নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতি-প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে তা ন্যায়সংগত ও নিরপেক্ষভাবে এবং আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে না :
  • (খ) কোন ব্যালট পেপার বাতিল বা গ্রহণসহ, এই বিধিমালার অধীন কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ পুনর্বিবেচনা করাই হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাজ।
  • (গ) অধ্যাদেশ ও এই বিধিমালার বিধান অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের নির্বাচন নিরপেক্ষ, ন্যায়সংগত ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিতকরণের জন্য, তার মতে, প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী জারী করতে, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য আদেশ প্রদান করতে পারবে।

১০। ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টীম গঠন

ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টীম গঠন করা  নির্বাচন কমিশনের কাজ। নির্বাচন অনুষ্ঠান যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং উক্ত নিরপেক্ষতা যাতে জনগণের নিকট দৃশ্যমান হয় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টীম গঠন করতে হবে। উক্ত টীমে বেসরকারি পর্যায়ের দল নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জরুরী ভিত্তিতে উক্ত টীম গঠন করতঃ টীমের সদস্যদের তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

১১। ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টীম কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শন ও প্রতিবেদন দাখিল

ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টীম কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শন ও প্রতিবেদন দাখিল করাও নির্বাচন কমিশনের কাজ এর মধ্যে আওতাভূক্ত।  উল্লিখিত টীমকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় নির্বাচনি আচরণ বিধি ভংগ হয়েছে কিনা অথবা ভংগ হবার আশংকা রয়েছে কিনা বা নির্বাচনি প্রচারণা ও নির্বাচনি ব্যয় বাবদ নির্বাচন বিধিমালার বিধিতে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় করেছে কিনা বা অন্যান্য বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে কিনা তা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে নির্দেশ দেবেন।

আচরণ বিধিমালা ভংগের কোন বিষয় নজরে আসা মাত্রই ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে জানাতে হবে। অন্যান্য নির্বাচনি বিধি-নিষেধ ভঙ্গের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে ফৌজদারী আদালতেও অভিযোগ (Complaint) দায়ের করা যাবে। প্রয়োজনে উদ্ভূত সমস্যাবলী তাৎক্ষণিকভাবে নিরসনের পরামর্শ দেবেন।

এ ছাড়াও স্থানীয় পরিস্থিতির উপর তিন দিন অন্তর অন্তর পূর্ণাংগ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দিতে হবে। প্রার্থী বা তার নির্বাচনি এজেন্ট বা তাদের পক্ষে অন্য কেউ আচরণ বিধিমালার কোন বিধি ভংগ করলে বা ভংগ করার চেষ্টা করলে বা বিধিমালার কোন বিধি বিশেষ করে নির্বাচনি ব্যয় সংক্রান্ত বিধি- বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

১২। আচরণ বিধিমালা অবহিতকরণ

ভিজিল্যান্স টীম ও অবজারভেশন টীমের সদস্যসহ সকল প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নির্বাচনি এজেন্টকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিধান এবং উক্ত বিধান ভঙ্গের দায়ে প্রদেয় শাস্তি বিশেষ করে আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলকরণের বিষয় অবগত করানো নিশ্চিত করতে হবে।

১৩। নির্বাচন মনিটরিং টীম গঠন

নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন মনিটরিং কমিটি গঠন করা। অবিলম্বে রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন মনিটরিং টীম গঠন করতে হবে। উক্ত টীম গঠনের সাথে সাথে টীমের সদস্যদের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

এই টীম নির্বাচন সংক্রান্ত আইন, বিধি, নির্বাচনি আচরণ বিধি এবং নির্বাচনের সার্বিক বিষয়াদি যথাযথ ও সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা তা তদারক করবে ও প্রতিপালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই টীম বিশেষ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে আর বিশেষ প্রয়োজন না হলে প্রতি পাঁচ দিন পর পর উল্লিখিত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবে।

১৪। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন

সবচেয়ে জরুরি নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহের কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন ও সুসংহতকরণের লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সেল গঠন করতে হবে।

এ সেলে অন্যান্য সদস্যগণ হবেন পুলিশ সুপার বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সহযোগী আইন-শৃংখলা সংস্থা কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তাবৃন্দ। অবিলম্বে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সেল গঠন করতঃ উক্ত সেলের সদস্যদের তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। এ সেল নির্বাচনি এলাকায় আইন-শৃংখলা সংরক্ষণকরে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই সেলও আইন-শৃংখলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গৃহীত ব্যবস্থাদি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করবে।

১৫। সকল প্রকার ভোটারদের বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের ভোট প্রদান নিশ্চিতকরণ

সকল স্তরের ভোটারদের এবং বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যকলাপ সম্পর্কে যেন সকল শ্রেণীর ভোটার পূর্ব থেকে নিশ্চিত হতে পারেন তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করতে হবে। ভোটদানের জন্য ভোটারগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সে উদ্দেশ্যে নিশ্চয়তামূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটসমূহ কর্তৃক নিবিড় টহলদারের ব্যবস্থা করতে হবে।

পর্যাপ্ত সংখ্যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রসমূহে বেশী সংখ্যায় আইন-শৃংখলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং যে কোন প্রকার অশুভ কার্যকলাপ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সদা সতর্ক থাকার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করতে হবে। তাই সকল প্রকার ভোটারদের বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করাই হলো নির্বাচন কমিশনের কাজ।

১৬। গৃহীত ব্যবস্থাদি নির্বাচন কমিশনকে অবহিতকরণ

ভিজিল্যান্স টীম ও অবজারভেশন টীম, মনিটরিং টীম ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সেল গঠন করে তা এবং উক্ত টীমসমূহের কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসার নির্ধারিত তিন দিন পর পর বা ক্ষেত্রমত তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করবেন এবং টীমসমূহ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবগত করানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করবেন ।

১৭। কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামগ্রিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনারের সাথে আলোচনাক্রমে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করাও নির্বাচন কমিশনের কাজ। উক্ত কর্মপরিকল্পনা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে।

শেষকথাঃ

আসন্ন ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সাবলীলভাবে সম্পাদনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাজের সীমানা অন্তহীন। প্রতিটি সেক্টরের কাজের তদারকির জন্য নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট কাজ করে থাকে। মূলত তাদের কাজের উপর ভিত্তি করেই আগামীর সফল নির্বাচন সম্ভব। তাই এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে নির্বাচন কমিশনের কাজ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।

Visited 39 times, 1 visit(s) today

Leave a Comment

You cannot copy content of this page