কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

শুকনো আঙ্গুরকে বলা হয় কিসমিস যার ইংরেজি নাম রেইসিনও। মানুষের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে কিসমিস। সুস্থভাবে শরীরের ওজন বাড়ায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে , কিসমিসে ভিটামিন, খনিজ, এন্টিঅক্সিডেন্টস ও অন্যান্য খাদ তালিকাগত ফাইবার গুলোর পুষ্টি ভরপুর। সরাসরি কিসমিস খাওয়ার থেকে রাতে ভিজিয়ে কিসমিস খেলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। কিসমিসের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে। বিশ্বের সব দেশেই কিসমিস চার্ষ করা হয়। এতে করে সাধারণ থেকে অতি সাধারণ মানুষও কিসমিস অল্প টাকায় ক্রয় করতে পারে।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ওষুধ ছাড়া যারা নিজের অ্যাসিডিটি দূর করতে চান তারা প্রতিদিন সকালে পানিতে ভিজিয়ে কিসমিস পরিমাণ মতো খেতে পারেন। ডেইলি কিসমিস খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে। আরও কিসমিসে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার। কিসমিস আয়রনের মাত্ররা বাড়াতে পারে ও শরীরের হাড়কে মজবুত করে। কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা আছে।

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, সকালে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা, কিসমিসের কারনে শরীরের অপকারিতা। তো চলুন দেরি না করে শুরু করি কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

কিসমিস খেলে ওজন বাড়ে

প্রাকৃতিক ভাবে শরীরের ওজন বাড়তে অনেকেই চেষ্টা করে, ফলে কাজুবাদাম ও খেজুর খেয়ে থাকে। এদের পাশাপাশি কিসমিস খেলেও মানুষের শরীরের কোনো ক্ষতি না করে ওজন বাড়েতে সহয়তা করে। কারন কিসমিস রয়েছে প্রচুর ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ ও পোটেনশিয়াল এনার্জি ভরপুর। বডি বিল্ডারদের কিসমিস খাওয়ার জন্য বলা হয় কারন শরীরের কোলেস্টেরল না বাড়িয়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

কিসমিস ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

কিসমিসে থাকা কেটেচিনের কারনে এন্টিকার্সিনো জেনিক শরীরের উপকার করে। ফলে কিসমিস খাওয়ায় ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিনের খাবারের সাথে কিসমিস খাওয়াতে শরীরের ক্যাটেচিন এর মত শক্তিশালী অ্যান্ট্রিওক্সিড্যান্ট সৃষ্টি হয়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য কিসমিস

ডাক্তারের অধিক পরিক্ষা নিরিক্ষায় দেখা গেছে কিসমিস পোস্টপ্রান্ডিয়ালকে নিচের দিকে নামিয়ে দেয় ও ঘ্রেলিন নামক ২টা হরমোন রিলেজ করতে সাহায্য করে। এইগুলো আবার শরীরলে সিগনাল দেয় মানব দেহে কোন সময় খাদ্যের অভাব। ডায়াবেটিসের জন্য কিসমিস খেলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত।

মস্তিষ্কের জন্য কিসমিস

কাজের মনোযোগ সৃষ্টি করে আমাদের মস্তিষ্ক আর কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা হিসাবে মস্তিষ্ক পরিষ্কার হয় ফলে কাজ দূত করা যায়। কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী। তাই ছোটদের কিসমিস দিলে তাদের পড়াশোনা প্রতি মনোযোগ বাড়ে।

কিসমিস কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে

ডাক্তারি পরিক্ষায় দেখা গেছে কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কারন এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা শরীরের খাবার হজম করায় সাহায্য করে। ফলে মানুষকে কিছুক্ষন পরে পরে খিদার সংকেত দেয় মস্তিষ্ক সেই খাবার গ্রহন করা মাত্র আবার হজম হতে শুরু করে। এই পদ্ধতিতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কিসমিস।

কিসমিস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

কিসমিস খাওয়ার ফলে মানুষর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, কারন কিসমিসে থাকা পটাসিয়াম রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। আরও সোডিয়ামের মাত্ররা নিয়ন্ত্রণ করে কিসমিস তাই বলা হয় কিসমিস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

প্রত্যেকটা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ফলমূল খেয়ে থাকে। কারন দেহকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখা তাদের একত্ব দায়িত্ব এতে নিজের লাভ। ফলমূলের তালিকাতে কিসমিস খাওয়া যেতে পারে। কিসমিস ভিটামিন ও খনিজের বিভিন্ন উপকারী উপাদান থাকে। যেটা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কিসমিস খেলে ঘুম ভালো হয়

কিসমিস খেলে ঘুম ভালো হয় কারন এতে রয়েছে আয়রন। আমরা জানি কিসমিসে থাকা আয়রন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা শুধুমাত্র হিমোগ্লোবিনের উত্পাদন বৃদ্ধি করে না বরং বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে। ঠিক সেইসব কারণ কিসমিস খাওয়ার ফলে মানুষের ঘুম ভালো হয়।

কিসমিস ক্ষতিকর দিক

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা: এতক্ষণ তো আমরা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। এখন জানবো কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। নিচে কিসমিসের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করা হলো।

অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি

ক্যালসিমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিাম যা আপনার শরীরের ওজন বাড়তে সাহায্য করে। এখন নপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে ভুলেও কিসমিস খাবেন না। এতে করে আপনার শরীলে অধিক পরিমাণের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

কিসমিস খেলে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা

কিসমিস খেলে যেমন হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, তেমনি বেশি খাওয়া ফলে হজম শক্তি কমে যায়। কিসমিস অতিরিক্ত মাত্ররায় খাওয়ার জন্য পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে করে পেতে প্রচুর ব্যর্থ অনুভব হতে পারে ও মুখের রুচি কমতে পারে।

কিসমিস খেলে এলার্জির সমস্যা

কিসমিস খাওয়ার অপকারিতার আরেকটা দিক হলো এলাজি। মানুষের বিভিন্ন খাবারে এলার্জি থাকতে পারে। প্রথমবার কিসমিস খাওয়ার জন্য শরীরের ফুসকুড়ি দেখা দিলে কিসমিস খাওয়ার বন্ধ করে দিন। না হলে আপনার শরীরলে এলাজিতে বড়ে যাবে। এতে করে আপনার কিসমিস খাওয়ার জন্য উপকার থেকে অপকার বেশি দেখা দিবে।

রক্তে শর্করা বৃদ্ধিতে কিসমিস:

কিসমিসে থাকে চিনি ও ক্যালরি। বেশিপরিমাণ শরীলে প্রবেশ করলে উপকার থেকে ক্ষতি বেশি হবে। অতিরিক্ত কিসমিস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে বেশি কিসমিস খেলে ক্ষতির চিন্তার কারণ হয়ে থাকে মানবদেহে।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটা দিকেই রয়েছে এতে। যেকোনো খাবার কম-বেশি খাওয়ার জন্য সাইড এফেক্ট রয়েছে। কিসমিস বা যেকোনো খাবার কম-বেশি খাওয়ার সময় অবশ্যই ডাক্তার পরামর্শ নিন ধন্যবাদ।

Visited 17 times, 1 visit(s) today

InfoZoneBD Editor

এই ব্লগ সাইটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন জানা ও অজানা সকল তথ্য জানতে পারবেন। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, এই ওয়েবসাইটের প্রতিটি তথ্য আপনার দৈনন্দিন জীবনে অনেক সাহায্য করবে। এই সাইটের সমস্ত তথ্য বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। তাই প্রতিদিন আমাদের বাংলার ব্লগস সাইটের প্রতিটি পোস্টে চোখ রাখুন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page